সাহাবী ইরবায ইবন সারিয়া (রাযি.) বর্ণনা করেছেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এমন এক ওয়ায করলেন, যা শুনে আমাদের অন্তরসমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল এবং চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আল্লাহর রাসূল, মনে হচ্ছে এটি বিদায়ী নসীহত। আমাদের কিছু উপদেশ দিন।’

নবীজি বললেন, ‘আমি তোমাদের তাকওয়ার উপদেশ দিচ্ছি এবং (খলিফার) কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার পরামর্শ দিচ্ছি, যদিও তোমাদের নেতৃত্বে একজন কৃতদাস থাকে। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে থেকে যারা আমার পর জীবিত থাকবে, তারা শীঘ্রই অনেক মতভেদ প্রত্যক্ষ করবে। তখন তোমাদের উপর আবশ্যক হবে আমার সুন্নাহ এবং সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরে রাখবে। দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টির ব্যাপারে সাবধান থাকো, কেননা প্রত্যেক বিদআতই ভ্ৰষ্টতা।’
[সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিস নং ৩৭]

আজকের যুগে আমরা এমন এক বাস্তবতায় বসবাস করছি যেখানে সুন্নাহর নামে নানা নব উদ্ভাবিত রীতি ও নীতি প্রচলিত হয়েছে। প্রশ্ন হলো, বিদআত কী? এটি কীভাবে শুরু হয়েছে? বিদআতের কুফল কী এবং আমাদের সমাজে কোন কোন বিদআত প্রচলিত রয়েছে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কীভাবে আমরা বিদআতকে দূর করে নবীজির সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা করতে পারি? এসব জরুরি বিষয়কে কেন্দ্র করেই এই বইটি রচিত।