‘সতর’ বলতে শরীরের সেই অংশগুলোকে বোঝানো হয়, যা ঢেকে রাখা ইসলামে বাধ্যতামূলক এবং লজ্জা ও শালীনতার অংশ হিসেবে গণ্য। সতরের পরিধি কী এবং তা কীভাবে পালন করতে হবে, এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। তবে ইসলামী শরীয়ত এ বিষয়ে মানুষের পরিবর্তনশীল রুচির ওপর সবকিছু নির্ভর করতে দেয়নি; বরং সতরকে ইবাদতের অংশ বানিয়ে সাওয়াব লাভের একটি উপায় করে দিয়েছে এবং বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

বিংশ শতাব্দীতে মানুষ সতর ও লজ্জা সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করত, একবিংশ শতাব্দীতে এসে তা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। নব্বই দশকের মুসলিমদের পোশাকের দৈর্ঘ্য এবং আজকের সময়ের পোশাকের দৈন্যদশা এ পরিবর্তনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নিজেকে ঢেকে রাখা মানুষের সহজাত রুচির অংশ, কিন্তু শরীয়ত এতে সীমা নির্ধারণ করেছে এবং ইসলামী পোশাক ও পর্দাকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে।

বর্তমানে, ইসলামি পোশাক ও পর্দা নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে কিছু লোক ইসলামি পোশাকের বিধানকে অপব্যবহার করছে, অন্যদিকে কিছু লোক এই বিধানকে অবহেলা করে তা ছুঁড়ে ফেলছে। এ অবস্থায় ইসলামের সঠিক অবস্থান জানা এবং তা যথাযথভাবে পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামে সঠিক পোশাক, পর্দা এবং শরীরের শালীনতার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা এই গ্রন্থে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই বইটি পোশাক ও পর্দার বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে এবং ইসলামী বিধান সম্পর্কে সচেতন হতে সহায়ক হবে।